বাজারে এল এসি রাখী : হাতে বাঁধলেই শীতল অনুভূতি

12th August 2021 5:13 pm বর্ধমান
বাজারে এল এসি রাখী : হাতে বাঁধলেই শীতল অনুভূতি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : এবার রাখী উৎসবে দুর্গাপুরে বাজার মাতাবে অভিনব এয়ারকন্ডিশন (এসি) রাখী। ওই এসি রাখী শীততাপ  নিয়ন্ত্রণ না করলেও রাখীবন্ধন হতেই হাত থেকে শীতল অনুভূতি পৌঁছে দেবে গোটা শরীরে। এমনই দাবি বেনাচিতি বাজারের রাখী বিক্রেতাদের।  এসি রাখীতে কচিকাঁচাদের আকর্ষণীয় করতে একাধিক কার্টুন চরিত্রের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে লিটিল কৃষ্ণা, ছোটা ভিম থেকে স্পাইডারম্যান ও সুপারম্যান। বাদ যায়নি ডোরেমন, অ্যাংরি বার্ড,ডোনাল্ড ডাক, টেডি বিয়ার সহ একাধিক কার্টুন চরিত্র। ভ্যাপসা গরমে ক্ষনিকের শীতল অনুভূতি ও কার্টুন চরিত্রের উপহার তুলে দিতে বাজারে দেদার বিকোচ্ছে এসি রাখী। দাম চড়া হলেও চাহিদা ব্যাপক রয়েছে বলে দাবি রাখী বিক্রেতাদের। তাঁদের আরও দাবি, করোনা মহামারী গতবছর থেকে রাখীর বাজারের জৌলুস কেড়ে নিয়েছে। করোনা বিধিনিষেধের জালে ওই বছর রাখী উৎসবের আমেজ অনেকটাই ফিকে হয়েছিলো। এবার রাখীর বাজার চাঙ্গা করতেই অভিনব এসি রাখী এসেছে বাজারে।  উল্লেখ্য , দিদি - বোন তাঁদের ভাই ও দাদা'র মঙ্গলকামনায় শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হাতে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। পাশাপাশি দিদি ও বোনকে চিরজীবন রক্ষা করতে ভাই ও দাদার শপথের প্রতীক হয় রাখিবন্ধন। তাই পবিত্র ওই  সুতো (রাখী) ভাই বোনের প্রীতিবন্ধন। হিন্দু, শিখ ও জৈন ধর্মের মানুষ  রাখীবন্ধন উৎসব পালন করেন। যদিও ঐতিহাসিক যুগ থেকে একাধিক কারণে ভারতের একটি জনপ্রিয় উৎসবের আকার নেয় রাখীবন্ধন উৎসব। মুঘল আমলেও সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে চিতোরের বিধবা রানী কর্নবতী  একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। ব্রিটিশ রাজত্বকালে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সাংঘাতিক রুপ নেয়। সেই সময় ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করতে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখীবন্ধন উৎসব পালন করেন৷  হিন্দু - মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে শুরু হয় রাখীবন্ধন উৎসব। ঐতিহাসিক দিনগুলি স্মৃতি উদযাপন ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে বর্তমানে ১৫ আগষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। প্রতিটি মানুষের হাতে পবিত্র সুতোর রাখীবন্ধন করা হয়। যদিও সময়ের যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে পবিত্র সুতো'তে সৌন্দ্যর্যায়ন আনতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারুকার্য করা হয়েছে। রাখী তৈরী করতে নানান রকমের পুঁতি, স্টোন ও জড়ি সহ রঙবেরঙের সুতো ব্যবহার হয়ে থাকে। সচারাচর বাজারে এই ধরনের রাখি বিক্রি হয়ে থাকে।
বেনাচিতি বাজারের একজন রাখি বিক্রেতা যোগেশ্বর যশওয়াল বলেন,  রাখীর চাহিদা দুর্গাপুরের বাজারে ভালোই আছে। তৃণমূল সরকার আসার পরে চাহিদা আরও বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন রাখী বিক্রেতা রয়েছেন।বিভিন্ন কারুকার্য করা রাখী আমরা বিক্রি করে থাকি। তবে করোন সংক্রমণ শুরু হওয়ায় গতবছর রাখীর বাজার মন্দা গিয়েছে। এবার বাজার চাঙ্গা করতে একদম অভিনব এসি রাখী এসেছে। বিশেষ করে করোনা আবহে গৃহবন্দী ছোটো-ছোটো ছেলে মেয়েদের সাময়িক আনন্দ দিতে এসি রাখী এবার বাজারে এসেছে । ওই রাখি গুলিতে  যেমন কার্টুন চরিত্র ফুটে উঠেছে তেমনি তার বিশেষত্বও রয়েছে। রাখিটি একটা প্লাস্টিকের কার্টুন চরিত্র। ওই প্লাস্টিকের ভেতরে মেন্থল বা মিন্ট জাতীয় পাউডার রয়েছে। মেন্থলটি ওপর থেকে চেপে ফাটিয়ে দিলে রাখীটি নিজেই বেলুনের মত ফুলে উঠবে। এর পরে হাতে রাখিটি বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে শীতল ভাব অনুভূতি হতে শুরু হবে। বাচ্চাদের জন্য মজাদার এই রাখীটির চাহিদাও ব্যাপক রয়েছে। ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের রাখী রয়েছে।  এসি রাখি বিক্রি করছি ৫০ টাকা করে।এবং প্রতিটি রাখি কোলকাতার প্রডাক্ট।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।